আজ রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাজেদের ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত জল্লাদ, দেখা করেছেন স্বজনরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে ১০ জনের জল্লাদের একটি দল তৈরি করেছে ঢাকা জেল কর্তৃপক্ষ। দেখা করেছেন তার পরিবারের পাঁচ সদস্য। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) তারা এই সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকারীরা হলেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা, স্ত্রীর বোন, বোন জামাই, ভাতিজা । তবে এটি স্বজনদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ কি না তা জানা যায়নি।। কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খুনি মাজেদের সঙ্গে পরিবার সদস্যদের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মাহবুবুল ইসলাম  বলেন, ‘মাজেদের পরিবারের সদস্যরা প্রায় ঘণ্টাখানেক মাজেদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ফাঁসি কার্যকরে সবসময় প্রস্তুত আছি। নির্বাহী আদেশ এলে কারা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করবে।’

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) ফাঁসির রায় কার্যকরের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’

এদিকে মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে ১০ জল্লাদের একটি টিমও প্রস্তুত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, খুনি মাজেদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই, আমরা যে কোনো সময় কার্যকর করতে পারব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

বুধবার (৮ এপ্রিল) মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। পরে প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারাগারের ভেতরে ফাঁসির মঞ্চ সব সময় প্রস্তুত থাকে। তবে পুরান ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জে কারাগার হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই ফাঁসির মঞ্চে কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ